বাংলাদেশী রাজনীতিতে ইহুদিবাদ, মোসাদ এবং ইস্রায়েল : কিন্তু ইন্ডিয়া লাভবান সব দিক থেকে।
ইন্ডিয়া মধ্যে প্রাচ্যের সকল মুসলিম দেশের সাথে সখ্যতা বজায় রাখার জন্য ইস্রায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিক সূম্পর্ক না রাখলেও পর্দার আড়ালে তাদের সম্পর্কের কথা অনেকেরই জানা।কিন্তু আমাদের দেশের নব্য ফেইসবুক ব্যাবহারকারী যারা হাসিনার সব কথাগুলোকে কোরানের আয়াত অথবা হাদিস মনে করে তারা ইস্রায়েল এবং ইন্ডিয়ার লদকা লদকি প্রেমের কথা কোনো অবস্থাতেই মানতে বা বুঝঁতে রাজি না।
কিন্তু কেন?
হাসিনা বা আওয়ামী পন্থী লোকগুলো যদি দাবি করে যে তারা ইস্রায়েল এবং ইন্ডিয়ার লদকা লদকি প্রেমের কথা জানে তবে তারা মহা বিপাকে পরে যাবে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোতে:
**আসলাম চৌধুরীর গ্রেফতার অবৈধ হয়ে যাবে
**হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের ইস্রাঈলপন্থী সু-সম্পর্কের কথা প্রকাশ পেলে তারা আর কোনো মূলমমানের ভোট পাবে না।
**যেসব মুসলমান ধর্ম ব্যাবসায়ীরা হাসিনাকে সমর্থন করে তারা রাস্তা ঘাটে মার্ খেয়ে মারা যাবে।
**হাসিনা’র ইসলাম ধর্ম নিয়ে ড্রামা সিরিয়াল প্রকাশ পেলে হাসিনা’র বাবার কবর গোপালগঞ্জে রাখাও কষ্টকর হবে।
**হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ চার ভাগের তিন ভাগ অন্ধ অনুসারীদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবে।
পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকেই ইন্ডিয়া ইসরাইলের সু-সম্পর্ক তৈরী করেছে। হিন্দু মৌলবাদীরা মুসলিম বিদ্বেষের জন্য ইহুদিদের কোলে টেনে নিয়েছে। হিন্দুত্ববাদের জন্য এটা খুবই ভালো ফর্মুলা। শত্রুর সেতুর আমার মিত্র। এটা ইউনিভার্সাল। হিন্দুরা এটা বুঝলেও গাধামাৰ্কা মুসলমান রাজা, বাদশাহ এবং আমির নামের ক্ষমতালোভী মানুষ নামের হারামজাদাগুলো বুঝতে সক্ষম হয়নি। ইন্ডিয়া এই অপদার্থ রাজা বাদশাগুলোকে কাজেরবেটি পাঠিয়ে সন্তুষ্ট রেখেছে আর অন্যদিকে ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে তাদের বৈদেশিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন এনে নিজেদেরকে উন্নত দেশগুলোর তালিকায় নাম লেখাতে সক্ষম হয়েছে। পক্ষান্তরে মুসলমান নামের রাজা বাদশা’রা বুঝতেই পারেনি যে ইন্ডিয়া তাদেরকে কাজেরবেটি পাঠিয়ে ঘুম পাড়িয়ে তাদেরকে কয়েকযুগ পেছনে ফেলে দিয়েছে। ইন্ডিয়া ঠিকই বুঝেছিলো যে সোভিয়েত ইউনিয়ন টিকবেনা। তারা পশ্চিমমুখী হতে হলে ইহুদি লবি ছাড়া তাদের গত্যন্তর নেই। তারা দেশ হিসেবে ঠিক কাজটাই করেছে। তারা ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপকে তাদের খানকি বানিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়েছে। তারা এখন বাংলাদেশ গ্রাস করে তাদের টেরিটোরিকে আরও বর্ধিত করবে। রাষ্ট্র হিসেবে আমি ইন্ডিয়াকে দোষ দিতে পারিনা যেহেতু প্রত্যেকটা রাষ্ট্রই তাদের গেইন নিয়ে চিন্তা করে শুধুমাত্র হাসিনা নিয়ন্ত্রিত বাংলাদেশ ছাড়া।
আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা থেকে শুরু করে হাসিনা এবং তার দল বহু ড্রামা করেছে।তারা বলেছে যে আসলাম চৌধুরী নামের কোনো এক বিনপি ইডিয়ট ইন্ডিয়া গিয়ে মোসাদের এজেন্ট সাফারির সাথে ষড়যন্ত্র করেছে। কোনো সুস্থ শিক্ষিত মানুষের কাছে এটা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কথা নয় যেহেতু ইন্ডিয়া কখনই তার দেশে বসে এই ষড়যন্ত্র করার সুযোগ দিবে না। ইন্ডিয়া ইসরাইলকে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ চালাতে। ইহুদিরা মুসলমানদের মারতে পারলেই শান্তি পায় এবং ইন্ডিয়া এই সুযোগ করে দিয়েছে। ইসরায়েলি মোসাদ পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ইন্ডিয়ার তত্ত্বাবধানে। তারপর হেফাজতে ইসলামকে ক্রাশ করে দিয়েছে শাপলা চত্বরে। পরে অবশ্য হেফাজতের বড়ো মাওলানাকে পয়সা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে যেভাবে ইহুদিরা কিছু ফিলিস্তানিদের ক্রয় করে।
আমি যখন মেন্ডি সাফাদি’র ইন্টারভিউ করি, প্রথমেই সাফাদি বলেছিলো যে অধিকাংশ বাংলাদেশীরাই ইডিয়ট। তারা লেখাপড়া জানে না বা করে না। আমি রাগ করে তাকে বলেছিলাম “HOW DARE THAT YOU SAY ‘MOST BANGLADESHIS ARE STUPID’ WITH ANOTHER BANGLADESHI?” সে আমাকে বলেছিলো “তোমরা বাংলাদেশীরা কেন বুঝোনা যে ইন্ডিয়া ইসরাইলের ঘনিষ্ট বন্ধু। হাসিনা এবং তার পরিবারও এখন আমাদের বন্ধু। আমাদের দায়িত্ব শুধু হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম “ইসরাইলের কি লাভ?” সাফাদি বলেছিলো “ইন্ডিয়ার বেনিফিট ইসরাইলের বেনিফিট।”
প্রিয় পাঠক, আমরা কে কোন দল করি এটা বিষয় না। যদি আমরা দেশকে ভালোবাসি তবে এখন আপনার এবং আমার দায়িত্ব সব কিছু জানা, বোঝা এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা।দল আমাদেরকে যাই বলুক না কেন, আমাদের সকলের উচিত ফ্যাক্ট চেক করা।নিজে না পারলে অন্য কাউকে জিজ্ঞাস্সা করা। পরিশেষে কিছু একটা করা যাতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন বলতে পারে যে বাংলাদেশ আমাদের দেশ। বাংলাদেশ একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।
সবাই ভালো থাকবেন।
জেকব মিল্টন
উই আর দি পিপল
ভারত-ইসরাইলের স্বার্থ একই সুতোয় গাঁথা: ইসরাইলি দূত
বিশেষ প্রতিনিধি-SEPTEMBER 25TH 2016
দিল্লীতে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ডেনিয়েল কারমন বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে সাইবার অপরাধ সর্বক্ষেত্রেই ভারত এবং ইসরাইলের স্বার্থ একই সুতোয় গাঁথা।
ডেনিয়েলের এই মন্তব্য উরি হামলার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এলো।
রোববার ডেনিয়েল কারমন আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে এবং এটি দমনে একটা কৌশলগত দিক রয়েছে- কূটনীতির মাধ্যমে। আমি নিশ্চিত ভারত এই পথ অবলম্বন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে সফল হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ইসরাইল ভারতের পাশে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুর মতোই থাকবে।
সূত্র: ডেইলি এক্সেলসিয়র।
